ভারত রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর দেশের বাজারে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের দাম। এক লাফে নিত্যপণ্যটির দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। সারা দেশেই একদিনের ব্যবধানে পণ্যটির দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। গতকাল শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আগের সপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হতে দেখা যায়। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। ভারত সরকার নিজের দেশে পেঁয়াজের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা মার্চ পর্যন্ত বাড়িয়েছে। শুক্রবার এমন খবর আসার পরদিনই দেশে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক পরিমাণ বাড়াতে শুরু করেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে পেঁয়াজের মূল্য স্থিতিশীল ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে রাজধানীসহ জেলা পর্যায়ে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল অধিদপ্তরের ৫৭টি টিম সারা দেশে বাজার অভিযানের মাধ্যমে ১৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৬ লাখ ৬৬ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। ঢাকা মহানগরীতে অধিদপ্তরের চারটি টিম অভিযান পরিচালনা করে। এদিকে জানা গেছে, দাম বাড়ার খবরে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযানে নামলে বিক্রেতাদের কেউ কেউ দোকান ফেলে রেখে চলে যান।
শুক্রবার রাত থেকেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। বাজারে দেশি পেঁয়াজের কমতি থাকায় ভারতীয় ও চীনা পেঁয়াজের প্রতি আগ্রহ ক্রেতাদের। যে কয়েকটি দোকানে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া গেছে তাও দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। শুক্রবার দেশি পেঁয়াজ ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে কেজিপ্রতি ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল; যা শনিবার ২৪০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ শুক্রবার ১০০ টাকায় বিক্রি হলেও গতকাল সকালে ১৬০ ও বিকাল গড়াতেই ২০০ টাকায় বিক্রি হয়। এদিকে দাম বাড়ায় বিক্রেতারাও পেঁয়াজ বিক্রি কমিয়ে দিয়েছেন। প্রত্যেকটি দোকানে অল্পসংখ্যক পেঁয়াজ সামনে সাজিয়ে রেখেছেন।
তবে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বাড়ায় বিপাকে ক্রেতারা। তারা বলছেন, ঘোষণা ছাড়াই হঠা পেঁয়াজের দাম এক লাফে দ্বিগুণ হওয়ায় মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো অবস্থা।
প্রসঙ্গত, আগে প্রতিটন পেঁয়াজ ২ থেকে ৩শ মার্কিন ডলার মূল্যে ভারত রফতানি করতো। কিন্তু অতিবৃষ্টি ও বন্যার কারণে ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দাম উর্ধ্বমুখী হয়ে উঠলে পেঁয়াজ রফতানি নিরুৎসাহিত করতে গত ২৮ অক্টোবর রফতানি মূল্য অনেকটা বাড়িয়ে একলাফে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে ভারত। এরপর থেকে সেই মূল্যেই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করছিলেন আমদানিকারকরা। সম্প্রতি ভারতে আবারও বন্যা হওয়ায় এবার চার মাসের জন্য স্থগিত করেছে ভারত সরকার। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত তারা কোনও পেঁয়াজ রফতানি করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে।
চট্টগ্রামের বাজারে নৈরাজ্য, জরিমানা
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, ভারত সরকারের নির্ধারণ করা পেঁয়াজের সর্বনিম্ন রফতানি মূল্যের সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণায় অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। অথচ সরবরাহে যেমন ঘাটতি নেই, তেমনি নতুন করে দামও বাড়ানো হয়নি। গেল অক্টোবরে ভারত যে রফতানি মূল্য নির্ধারণ করেছিল এর সময়সীমা পূর্বঘোষিত চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত করা হয়েছে। নতুন করে রফতানি মূল্য বাড়ানো না হলেও এক দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। আর দোকানগুলোতে পেঁয়াজ ‘নাই’ হয়ে গেছে। খাতুনগঞ্জের বিভিন্ন দোকানে ঝুলছে ‘পেঁয়াজ নাই’ লেখা বোর্ড। দুপুরের কিছু আগে ভোক্তা অধিদফতর অভিযানে নামার পর আড়তে থাকা পেঁয়াজ সরিয়ে নেন অনেক ব্যবসায়ী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে এক দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৮০ টাকা পর্যন্ত। গতকাল সকালে খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি বিক্রি হয় ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। গত বৃহস্পতিবারও যা ছিল ৯০ থেকে ১০০ টাকা। আর খুচরা বাজারে এক দিন আগেও সর্বোচ্চ ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ গতকাল সকালের দিকে ১৮০ টাকা এবং দুপুর না হতেই ২২০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।
গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে ভারত সরকারের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মহাপরিচালকের কার্যালয় নিজ দেশের সরবরাহ ও মূল্য ঠিক রাখতে পেঁয়াজ রফতানির সর্বনিম্ন মূল্যসীমা বেঁধে দেয়। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ ডলার নির্ধারণ করে দিয়ে নতুন এই মূল্যসীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছিল। সে সময় ভারত সরকারের ওই সিদ্ধান্ত আসার পর পরই অস্থির হয়ে উঠেছিল পেঁয়াজের বাজার। সর্বনিম্ন রফতানি মূল্য বেঁধে দেয়ার পাশাপাশি ভারত সরকার গত আগস্টে পেঁয়াজ রফতানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। আমদানিকারকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এত দিন ভারত সর্বনিম্ন ৪০০ ডলারে পেঁয়াজ রফতানি করে আসছিল। গেল অক্টোবরে যে সর্বনিম্ন মূল্য বেধে দিয়েছিল এর সময়সীমা আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। নতুন করে দাম বাড়ানো হয়নি। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা এখন এর সুযোগ নিচ্ছেন।
পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে লাখ টাকা জরিমানা : এ দিকে চট্টগ্রাম নগরীতে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। গতকাল দুপুরে এ জরিমানা করেন সংস্থার চট্টগ্রামের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ। তিনি জানান, দুপুরে পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ ও নগরীর চৌমুহনী এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কর্ণফুলী মার্কেটে বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ফারুক স্টোরকে ৩০ হাজার টাকা, আলিফ ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা, খাতুনগঞ্জের বরকত ভাণ্ডারকে ২০ হাজার টাকা, এ এইচ ট্রেডার্সকে ১০ হাজার টাকা, এ কে ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
সিলেটে কেজি ২৪০ টাকা
সিলেট ব্যুরো জানায়, সিলেটের বাজারে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে পেঁয়াজের দাম। এক রাতের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম পাইকারি বাজারে কেজিতে বেড়ে গেছে ১০০ টাকা পর্যন্ত আর দেশীতে বেড়েছে ৮০ টাকা। এ ছাড়া খুচরা বাজারে ২১০ থেকে ২৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। গতকাল নগরীর কালীঘাট, বন্দরবাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়। এতে নিম্নআয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটি।
পাইকাররা জানান, শুক্রবার যে মানের ভারতীয় পেঁয়াজ নগরীর কালীঘাটে বিক্রি হয়েছে ১০০ থেকে ১০৫ টাকা কেজি দরে শনিবার তা বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকায়। এ ছাড়া খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২১০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশী পুরনো পেঁয়াজের দাম এক রাতে ৬০ টাকা বেড়ে গতকাল সকাল থেকে বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা কেজি দরে। আর দেশী নতুনের দাম ১১০ টাকা থেকে ঠেকেছে ১৫০ টাকায়। তবে বাজারের এ অস্থিরতাকে সাময়িক বলছেন তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে পেঁয়াজ কম। পাশাপাশি ভারতের পেঁয়াজ রফতানির নিষেধাজ্ঞার খবরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দাম বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ পাইকারি ব্যবসায়ীদের। নতুন পেঁয়াজ পুরোদমে ওঠা শুরু হলে দাম কমে যাবে বলেও মত তাদের।
বিয়ানীবাজারের সৈয়দ হোসেন এন্টারপ্রাইজের বিক্রেতা এমরান হোসেন বলেন, আমরা প্রতিদিন সকালে কালীঘাট থেকে পাইকারিতে মালামাল নিয়ে আসি। এরপর কেজিতে দুই থেকে পাঁচ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করি। শনিবার সকালে পেঁয়াজ আনতে গিয়ে নিজেও রীতিমতো অবাক হয়েছি। সিলেটের ক্রেতারা বলছেন, খুচরা দোকানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে; এতে কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এ অবস্থায় প্রধান পাইকারি আড়ত সিলেট নগরীর কালীঘাটে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে শনিবার সকাল থেকে কালীঘাট আড়তে পেঁয়াজের দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়। নগরে সকাল থেকে খুচরা দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দামও অস্বাভাবকি অবস্থায় চলে গেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন ২১০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
বেনাপোলে এলসি মূল্য আগের মতোই
বেনাপোল (যশোর) সংবাদদাতা জানান, শনিবার সকালে বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুই দিন আগে যে পেঁয়াজের দাম ছিল ১০০-১২০ টাকা গতকাল সেই পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। বেনাপোলা বাজারের পাইকারি বিক্রেতা সুরুজ মিয়া জানান, গত সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার নিচে ছিল। ভারত সরকারের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষনায় এখন বিক্রি করছি ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দরে। দেশে পেঁয়াজের মজুদ যথেষ্ট থাকলেও সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে রাখছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজের এলসি মূল্য ছিল ৮০০ ডলার। শুক্রবার এক পত্রের মাধ্যমে ভারত সরকার সে দেশে সঙ্কট দেখিয়ে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়। গত মাসে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। সর্বশেষ ৫৯ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।
সাতক্ষীরায় ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি জানান, ভারত সরকার রফতানি বন্ধ ঘোষণার খবরের কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে সাতক্ষীরায় পেঁয়াজের দাম এক লাফে কেজিতে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা বেড়ে গেছে। বাজারে হঠাৎ করে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা। শনিবার দুপুরের দিকে সাতক্ষীরা সুলতানপুর বড়বাজারে গিয়ে দেখা গেছে ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি; যা খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে। পাইকারি বাজারে দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা কেজি আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। কিন্তু মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে শুক্রবার রাতে পাইকারি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০-৯৫ টাকা। খুচরা ১০০ থেকে ১০৫ টাকা। দেশী পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১২৫ টাকা। রফতানি বন্ধ ঘোষণার পর রাত পার না হতেই শনিবার পাইকারি বাজারে সেই পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। অনুরূপ দেশী পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।
সুলতানপুর বড়বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ী আবদুল আজিজ জানান, শুক্রবার দিনভর আমরা ভারতীয় আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাইকারি ৯০-৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। সকালে বাজারে এসে ভোমরায় ফোন করে জানতে পারলাম, সেখানে এখন ১৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নওশাদ দেলওয়ার রাজু জানান, বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি নেই। এখনো ব্যবসায়ীদের স্টকে প্রচুর পেঁয়াজ আছে। রফতানি বন্ধ ঘোষণা শুনেই একধরনের অসাধু ব্যবসায়ী সুযোগ বুঝে দাম বাড়াচ্ছে।
এ দিকে কুমিল্লার বুড়িচং, নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন, ময়মনসিংহের ভালুকা, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী, বরগুনার বেতাগী থেকে নয়া দিগন্তের সংবাদদাতারা এক রাতের ব্যবধানের পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণ হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
সূত্র: নয়া দিগন্ত
Leave a Reply