বৈধ উপায়ে যেকোনও ধরনের সাজ-সজ্জার অনুমতি রয়েছে ইসলামে। বর্তমানে অনেক নারী সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য লিপস্টিকসহ বাজারে বিক্রিত বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করেন। সাজ-সজ্জা করলেও নামাজ আদায় করতে হয় নিয়মিত, নামাজের জন্য অজুও করতে হয়। অনেকেই অজু করার পর লিপস্টিক ব্যবহার করে থাকেন আবার কেউ কেউ লিপস্টিক লাগিয়ে এরপর অজু করেন। লিপস্টিক ব্যবহার নিয়ে যেহেতু বিভিন্ন ধরনের মতামত রয়েছে তাই অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে- এই প্রসাধনী ব্যবহারের পর অজু করা ঠিক হবে কিনা।
এ বিষয়ে ইসলামি আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদদের মতামত হলো- লিপস্টিক যদি অজুর আগে লাগানো হয়, সেক্ষেত্রে তা যদি ঠোঁটে এমন আস্তর তৈরি করে, যার কারণে ঠোঁটে পানি না পৌঁছায় তাহলে লিপস্টিক ব্যবহারের পর অজু করা যাবে না, তা উঠিয়ে অজু করতে হবে। আর লিপস্টিক যদি ওয়াটারপ্রুফ হয় এবং এতে কোনো অপবিত্র বা হারাম উপাদান মিশ্রিত না থাকে তাহলে তা ব্যবহার করে অজু করা যাবে এবং অজুর পর সেটা ব্যবহার করা যাবে। (বানূরী ফাতাওয়া অনলাইন, ৩৩২৫, দুররুল মুখতার, ১/১৫৪, ফাতোয়ায়ে শামী, ১/১৫)
আলেমদের মতে, অজুতে চেহারা, হাত, পা, মাথা এই চারটি অঙ্গ ভেজানো ফরজ। এই চার অঙ্গে মধ্যে মাথা মাসেহ করা ফরজ। আর বাকি তিন অঙ্গ ধোয়া ফরজ।
এ অঙ্গগুলোর কোনো একটি স্থান শুকনো থাকলে— অজু হবে না। অজুর শেষে যদি কোনো উপায়ে জানা যায়, এই তিন অঙ্গের কোথাও শুকনো রয়ে গেছে। তাহলে শুধু শুকনো জায়গা পানি দিয়ে ধুয়ে নিলেই হবে; নতুন অজু করতে হবে না। -(আহসানুল ফাতাওয়া, খণ্ড : ০২, পৃষ্ঠা : ৩১৬)
Leave a Reply