1. [email protected] : মো: সরোয়ার সরদার : মো: সরোয়ার সরদার
  2. [email protected] : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক
  3. [email protected] : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি
  4. [email protected] : Sadak Mostafa : Sadak Mostafa
  5. [email protected] : বিশেষ প্রতিনিধি : বিশেষ প্রতিনিধি
কষ্ট করে কোরআন পাঠে দ্বিগুণ সওয়াব | ঢাকা আওয়ার
শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ০৪:৪৩ অপরাহ্ন

কষ্ট করে কোরআন পাঠে দ্বিগুণ সওয়াব

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩
  • ৭৮ সময় দর্শন

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

مَثَلُ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهْوَ حَافِظٌ لَهُ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَمَثَلُ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ وَهْوَ يَتَعَاهَدُهُ وَهْوَ عَلَيْهِ شَدِيدٌ، فَلَهُ أَجْرَانِ ‏
কোরআনের হাফেজ পাঠক কোরআনের লিপিকার সম্মানিত ফেরেশতাদের মতো মর্যদার অধিকারী। আর কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও যে ব্যাক্তি কোরআন পাঠ করে, সে দ্বিগুণ সওয়াব পাবে। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)

এ হাদিস থেকে যে শিক্ষা ও নির্দেশনাগুলো আমরা পাই

১. এ হাদিসে কোরআন তেলাওয়াতাকারীদের দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম প্রকার তেলাওয়াতকারী হলো, যে কোরআন তেলাওয়াত খুব ভালোভাবে রপ্ত করতে সক্ষম হয়েছে, এর অর্থ ও মর্ম সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করেছে, কোরআন হিফজ করেছে, সে আল্লাহর ওহি বহনকারী ফেরেশতাদের মতো মর্যাদার অধিকারী। প্রত্যেক মুসলমানেরই কোরআনের এ রকম তেলাওয়াতকারী হওয়ার চেষ্টা করা উচিত।

দ্বিতীয় প্রকারের তেলাওয়াতকারী তারা যারা তেলাওয়াত ভালোভাবে রপ্ত করতে পারেনি, যাদের তেলাওয়াত করতে কষ্ট হয় এবং কষ্ট করে ধীরে ধীরে কোরআন পড়ে, তারা দ্বিগুণ সওয়াব লাভ করবে; কোরআন তেলাওয়াতের সওয়াব এবং কষ্ট করার সওয়াব।

২. যারা কোরআনের জ্ঞান লাভ করেছে, কোরআন হিফজ করেছে, তাদেরও কর্তব্য বেশি বেশি কোরআন পাঠ করা এবং কোরআনের বক্তব্য ও মর্ম নিয়ে চিন্তাভাবনা করা। আল্লাহর ইচ্ছা ও নির্দেশনাগুলো বোঝার চেষ্টা করা। হাসান ইবনে আলি (রা.) বলতেন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা কোরআনকে তাদের রবের পক্ষ থেকে পাঠানো পত্রের মতো মনে করতেন। তারা রাতে কোরআনের বক্তব্য নিয়ে চিন্তাভাবনা করতেন, দিনে সেগুলো বাস্তবায়ন করতেন। ইবনুল কায়্যিম (রহ.) বলেন, কোরআন পাঠ করা উচিত চিন্তা-ভাবনা করে, এর অর্থ ও মর্ম বুঝে যেমন মানুষ কারো পাঠানো পত্র বার বার পড়ে তার উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করে।

Jagonews24 Google News Channelজাগোনিউজের খবর পেতে ফলো করুন আমাদের গুগল নিউজ চ্যানেল।
৩. আল্লাহর কিতাব সুন্দর করে পড়তে শেখা প্রত্যেক মুসলমানের অবশ্যকর্তব্য। প্রতিদিন অল্প হলেও কিছু সময় কোরআন পাঠ ও শিক্ষার জন্য আলাদা করে রাখা উচিত। কোনো শিক্ষকের সাহায্যে কোরআনের প্রতিটি আয়াত বুঝে বুঝে পড়া উচিত। রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ তারা, যারা কোরআন শেখে ও শিক্ষা দেয়। (সহিহ বুখারি)
ইমাম মালেক (রহ.) মুওয়াত্তা কিতাবে বর্ণনা করেছেন, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমরের (রা.) শুধু সুরা বাকারা অধ্যয়ন করতে সময় লেগেছিল আট বছর। এত সময় লেগেছিল তার শেখার ধীরগতির কারণে নয়, বরং কোরআনের অর্থ, মর্ম ও বিধিবিধান বুঝে বুঝে অধ্যয়ন করার কারণে। বায়হাকি (রহ.) শুআবুল ইমান কিতাবে ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণনা করেছেন, ওমর ইবনুল খাত্তাবের (রা.) সুরা বাকারা অধ্যয়ন করেতে সময় লেগেছিল বারো বছর। যে দিন তিনি সুরা বাকারা শেষ করেন, সেদিন উট জবাই করে সবাইকে খাওয়ান।

সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *