1. [email protected] : মো: সরোয়ার সরদার : মো: সরোয়ার সরদার
  2. [email protected] : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক
  3. [email protected] : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি
  4. [email protected] : Sadak Mostafa : Sadak Mostafa
  5. [email protected] : বিশেষ প্রতিনিধি : বিশেষ প্রতিনিধি
ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে রাসুল (সা.) যা করতেন | ঢাকা আওয়ার
রবিবার, ১২ মে ২০২৪, ১২:১১ অপরাহ্ন

ঝড়-বৃষ্টির মৌসুমে রাসুল (সা.) যা করতেন

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩
  • ৯৪ সময় দর্শন

বৃষ্টি সৃষ্টিকর্তার অফুরন্ত নেয়ামত। মৌসুমের পরিবর্তন মহান আল্লাহ তাআলার কুদরতের নিদর্শন। বৃষ্টি উপভোগে মানুষের মন প্রফুল্ল হয়। বৃষ্টির দ্বারা মহান আল্লাহ দুনিয়ায় বহু কল্যাণ ও রিজিকের ব্যবস্থা করে থাকেন। সৃষ্টি জীবের মাঝে প্রকাশ পায় সজীবতা ও নতুনত্ব। বৃষ্টি যেমন রহমত ও কল্যাণকর অন্যদিকে ক্ষতিকর ও মুসিবতেরও হতে পারে। ঝড়-বৃষ্টি চলাকালীন রাসুল (সা.) যা করতেন-

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا عَصَفَتِ الرِّيحُ قَالَ: «اَللهم إِنِّي أَسْألُكَ خَيْرَهَا وَخَيْرَ مَا فِيهَا وَخَيْرَ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ، وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا فِيهَا وَشَرِّ مَا أُرْسِلَتْ بِهِ» . رواه مسلم

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ঝড়-তুফান চলা কালে আল্লাহর রাসুল এই দোয়া করতেন, ‘আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা অখাইরা মা ফীহা অখাইরা মা উরসিলাত বিহ, অআঊযু বিকা মিন শার্রিহা অশার্রি মা ফীহা অশার্রি মা উরসিলাত বিহ।

অর্থাৎ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি এর কল্যাণ, এর মধ্যে যা আছে তার কল্যাণ এবং যার সাথে এ প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ তোমার নিকট প্রার্থনা করছি। আর এর অনিষ্ট, এর মধ্যে যা আছে তার অনিষ্ট এবং যার সাথে এ প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি। (সহীহ বুখারী : ৪৮২৯, মুসলিম : ৮৯৯, তিরমিযী : ৩২৫৭, আবূ দাউদ : ৫০৯৮, ইবনু মাজাহ : ৩৮৯১, আহমাদ : ২৩৮৪৮ ও ২৫৫০৬)

حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَسْوَدِ أَبُو عَمْرٍو الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنْ عَطَاءٍ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَى مَخِيلَةً أَقْبَلَ وَأَدْبَرَ فَإِذَا مَطَرَتْ سُرِّيَ عَنْهُ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ لَهُ ‏.‏ فَقَالَ ‏”‏ وَمَا أَدْرِي لَعَلَّهُ كَمَا قَالَ اللَّهُ تَعَالَى ‏:‏ ‏(‏فلمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا ‏)‏ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবি (সা.) যখন মেঘের ঘনঘটা দেখতেন তখন অস্থির হয়ে একবার সামনে যেতেন আরেকবার পেছনে যেতেন। বৃষ্টি হয়ে গেলে তার পেরেশানী বিদূরিত হত। আয়েশা (রা.) বলেন, আমি এই বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, কি জানি এই মেঘ হয়ত এমনও হতে পারে যেমন আল্লাহ্ তাআলা এই আয়াতে ইরশাদ করেছেন,

‏فلمَّا رَأَوْهُ عَارِضًا مُسْتَقْبِلَ أَوْدِيَتِهِمْ قَالُوا هَذَا عَارِضٌ مُمْطِرُنَا

তারা যখন তাদের উপত্যকার দিকে মেঘ আসতে দেখল তখন তারা বলতে লাগল, এই তো মেঘ আমাদের বৃষ্টি দান করবে। কিন্তু পরিণাম তা তাদের জন্য আজাব বয়ে নিয়ে আসে (সূরা আহকাফ ৪৬: ২৪)। (সহীহ বুখারী : ৪৮২৯, মুসলিম : ৮৯৯, তিরমিযী : ৩২৫৭)

বজ্রের আওয়াজ শুনলে করণীয় :

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنِ الْحَجَّاجِ بْنِ أَرْطَاةَ، عَنْ أَبِي مَطَرٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا سَمِعَ صَوْتَ الرَّعْدِ وَالصَّوَاعِقِ قَالَ ‏ “‏ اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ ‏”‏ ‏.‏ قَالَ هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমার (রা.) তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন মেঘের ও বজ্রের আওয়াজ শুনতেন তখন বলতেন :

اللَّهُمَّ لاَ تَقْتُلْنَا بِغَضَبِكَ وَلاَ تُهْلِكْنَا بِعَذَابِكَ وَعَافِنَا قَبْلَ ذَلِكَ (আল্লাহুম্মা লা-তাক্বতুলনা বিগজবিকা ওয়া লা-তুহলিকনা বিআজা-বিকা ওয়া আ-ফিনা- ক্ববলা জা-লিকা)

হে আল্লাহ! তোমার গজব দিয়ে আমাদের হত্যা করো না। তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করে দিও না। এর আগেই তুমি আমাদের নিরাপদে রাখ। (তিরমিজি : ৩৪৫০)

বৃষ্টিতে বরকত লাভের দোয়া :

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ ـ هُوَ ابْنُ مُقَاتِلٍ أَبُو الْحَسَنِ الْمَرْوَزِيُّ ـ قَالَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا رَأَى الْمَطَرَ قَالَ ‏ “‏ صَيِّبًا نَافِعًا ‏”‏‏.‏ تَابَعَهُ الْقَاسِمُ بْنُ يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ‏.‏ وَرَوَاهُ الأَوْزَاعِيُّ وَعُقَيْلٌ عَنْ نَافِعٍ‏.

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখন বৃষ্টি হতে দেখতেন তখন এ দোয়া পড়তেন : ‘আল্লাহুম্মা সায়্যিবান নাফিআ’, অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি আমাদের মুষলধারায় উপকারী ও স্বচ্ছ বৃষ্টি দান করো। (বুখারী : ১০৩২)

অতিবৃষ্টির সময়ের দোয়া :

حَدَّثَنَا مُحَمَّدٌ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو ضَمْرَةَ، أَنَسُ بْنُ عِيَاضٍ قَالَ حَدَّثَنَا شَرِيكُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي نَمِرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ، يَذْكُرُ أَنَّ رَجُلاً، دَخَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ مِنْ باب كَانَ وُجَاهَ الْمِنْبَرِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ فَاسْتَقْبَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ الْمَوَاشِي وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُغِيثُنَا‏.‏ قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ فَقَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا، اللَّهُمَّ اسْقِنَا ‏”‏‏.‏ قَالَ أَنَسٌ وَلاَ وَاللَّهِ مَا نَرَى فِي السَّمَاءِ مِنْ سَحَابٍ وَلاَ قَزَعَةً وَلاَ شَيْئًا، وَمَا بَيْنَنَا وَبَيْنَ سَلْعٍ مِنْ بَيْتٍ وَلاَ دَارٍ، قَالَ فَطَلَعَتْ مِنْ وَرَائِهِ سَحَابَةٌ مِثْلُ التُّرْسِ، فَلَمَّا تَوَسَّطَتِ السَّمَاءَ انْتَشَرَتْ ثُمَّ أَمْطَرَتْ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ مَا رَأَيْنَا الشَّمْسَ سِتًّا، ثُمَّ دَخَلَ رَجُلٌ مِنْ ذَلِكَ الْبَابِ فِي الْجُمُعَةِ الْمُقْبِلَةِ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَائِمٌ يَخْطُبُ، فَاسْتَقْبَلَهُ قَائِمًا فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، هَلَكَتِ الأَمْوَالُ وَانْقَطَعَتِ السُّبُلُ، فَادْعُ اللَّهَ يُمْسِكْهَا، قَالَ فَرَفَعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدَيْهِ ثُمَّ قَالَ ‏”‏ اللَّهُمَّ حَوَالَيْنَا وَلاَ عَلَيْنَا، اللَّهُمَّ عَلَى الآكَامِ وَالْجِبَالِ وَالآجَامِ وَالظِّرَابِ وَالأَوْدِيَةِ وَمَنَابِتِ الشَّجَرِ ‏”‏‏.‏ قَالَ فَانْقَطَعَتْ وَخَرَجْنَا نَمْشِي فِي الشَّمْسِ‏.‏ قَالَ شَرِيكٌ فَسَأَلْتُ أَنَسًا أَهُوَ الرَّجُلُ الأَوَّلُ قَالَ لاَ أَدْرِي‏.‏

হজরত আনাস ইবনু মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি জুমার দিন মিম্বারের সোজাসুজি দরজা দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করল। রাসুল (সা.) তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। সে রাসুল (সা.) এর সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! গবাদি পশু ধ্বংস হয়ে গেল এবং রাস্তাগুলোর চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। সুতরাং আপনি আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, যেন তিনি আমাদের বৃষ্টি দেন। বর্ণনাকারী বলেন, রাসুল (সা.) তখন উভয় হাত তুলে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, হে আল্লাহ! বৃষ্টি দিন, আনাস (রা.) বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা তখন আকাশে মেঘমালা, মেঘের চিহ্ন বা কিছুই দেখতে পাইনি। অথচ সালআ পর্বত ও আমাদের মধ্যে কোনো ঘর বাড়ি ছিল না। আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর দোআর পর হঠাৎ সালআ পর্বতের পেছন থেকে ঢালের মত মেঘ বেরিয়ে এলো এবং তা মধ্য আকাশে পৌঁছে বিস্তৃত হয়ে পড়ল। তারপর বর্ষণ শুরু হল। তিনি বলেন, আল্লাহর কসম! আমরা ছয়দিন সূর্য দেখতে পাইনি।

তারপর এক ব্যক্তি পরবর্তী জুমার দিন সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করল। রাসুল (সা.) তখন দাঁড়িয়ে খুৎবা দিচ্ছিলেন। লোকটি দাঁড়িয়ে বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! ধন-সম্পদ নষ্ট হয়ে গেল এবং রাস্তাঘাটও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেল। কাজেই আপনি আল্লাহর নিকট বৃষ্টি বন্ধের জন্য দোয়া করুন। আনাস (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) তার উভয় হাত তুলে দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! আমাদের আশে পাশে, আমাদের উপর নয়, টিলা, পাহাড়, উচ্চভূমি, মালভূমি, উপত্যকা এবং বনাঞ্চলে বর্ষণ করুন। আনাস (রা.) বলেন, এতে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে গেল এবং আমরা (মসজিদ থেকে বেরিয়ে) রোদে চলতে লাগলাম। (বুখারী : ১০১৩)

সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *