1. [email protected] : মো: সরোয়ার সরদার : মো: সরোয়ার সরদার
  2. [email protected] : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক
  3. [email protected] : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি
  4. [email protected] : Sadak Mostafa : Sadak Mostafa
  5. [email protected] : বিশেষ প্রতিনিধি : বিশেষ প্রতিনিধি
লেবাননে অর্থনৈতিক মন্দায় দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশিরা | ঢাকা আওয়ার
রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন

লেবাননে অর্থনৈতিক মন্দায় দেশে ফিরতে বাধ্য হচ্ছে বাংলাদেশিরা

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩
  • ৩৪ সময় দর্শন

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ লেবাননে ক্রমেই অস্বাভাবিক আকার ধারণ করছে মুদ্রাস্ফীতি। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না ডলারের মূল্য। প্রতিদিনই মার্কিন ডলারের বিপরিতে ধারাবাহিকভাবে কমছে স্থানীয় পাউন্ড লিরার মূল্য। আগে যেখানে এক ডলারের বিপরীতে স্থানীয় পাউন্ড ছিল মাত্র দেড় হাজার লিরা, বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৫ হাজার লিরা। স্থানীয় জনগণ ধারণা করছে, আরও বাড়তে পারে চলমান মুদ্রাস্ফীতি।

এমন অবস্থায় পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের দাম। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় স্থানীয় দরিদ্র জনগোষ্ঠীসহ দেশটিতে কাজ করতে আসা প্রবাসীরা। তাদের মাসিক আয় কমে গেছে কয়েকগুণ। এ কারণে গত ৩ বছর ধরে দেশটিতে চলমান অর্থনৈতিক মন্দায় অন্যান্য দেশের অভিবাসীর পাশাপাশি বাংলাদেশিদের অনেকেই নিজ দেশে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছেন। যারা এখনো দেশটিতে রুটি রুজির তাগিদে পড়ে আছেন তারাও অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের অপেক্ষায় দিন গুনছে। তবে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, এত সহসায় উন্নিত হবে না দেশটির সার্বিক পরিস্থিতি।

লেবাননের একটি স্থানীয় পেট্রলপাম্পে গত ১৬ বছর ধরে কাজ করছেন মুন্সীগঞ্জের কামাল হোসেন। আগে মাসিক ৬ থেকে ৭ শত মার্কিন ডলার আয় করলেও বর্তমানে আয় করছেন মাত্র ২ শত ডলার। এই স্বল্প আয়ে পরিবারের চাহিদা মেটাতে হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। দেশেও ফেরত যেতে পারছেন না, কারণ হাতে নেই পর্যাপ্ত সঞ্চয়। তাই অনিশ্চয়তায় এখনো লেবাননে আছেন। কামাল হোসেনের মতই বেশির ভাগ বাংলাদেশির বর্তমান অবস্থা।

এদিকে চরম অর্থনৈতিক মন্দায় ভেঙ্গে পড়েছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি। বাড়ছে অপরাধ প্রবণতা। দিনে দুপুরে ছিনতাইয়ের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশিসহ স্থানীয় প্রবাসীরা। স্থানীয় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও মিলছে না কোনো সমাধান।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি মিশেল আউনের মেয়াদ শেষ হলেও বর্তমান তত্ববধায়ক সরকার এখনো নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করতে পারেনি। দেশটিতে বাড়ছে রাজনৈতিক টানাপোড়ন। তবে স্থানীয় বিশ্লেষকরা ধারণা করছে, রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলেই কমবে মুদ্রাস্ফীতি, পুনরুদ্বার হবে দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতি।

সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *