1. [email protected] : মো: সরোয়ার সরদার : মো: সরোয়ার সরদার
  2. [email protected] : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক : ঢাকা আওয়ার ডেস্ক
  3. [email protected] : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি : আসিফ অনিক, খুবি প্রতিনিধি
  4. [email protected] : Sadak Mostafa : Sadak Mostafa
  5. [email protected] : বিশেষ প্রতিনিধি : বিশেষ প্রতিনিধি
কাশ্মীরের রাজনৈতিক ইতিহাস | ঢাকা আওয়ার
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০১:৪২ অপরাহ্ন

কাশ্মীরের রাজনৈতিক ইতিহাস

প্রতিবেদকের নাম
  • আপডেটের সময় : বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৬২ সময় দর্শন
kashmir-azadi-dhaka hour

১. মার্চ ১৮৪৬: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকর্তৃক জম্মুর শাসকের কাছে কাশ্মীরকে বিক্রির চুক্তি।

২. অক্টোবর ১৯৩২: শেখ আবদুল্লাহ ও চৌধুরী গোলাম আব্বাসের নেতৃত্বে কাশ্মীরে ‘মুসলিম কনফারেন্স’ দলের প্রতিষ্ঠা।

৩. জুন ১৯৩৯: ‘মুসলিম কনফারেন্স’ দলের নাম পরিবর্তন করা হয় ‘ন্যাশনাল কনফারেন্স’।

৪. জুন ১৯৪১: ‘মুসলিম কনফারেন্স’ নামে পুনরায় একটি কাশ্মীরী রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠা।

৫. মে ১৯৪৪: গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সফরে এম এ জিন্নাহর কাশ্মীর আগমন। প্রধান দুই নেতা চৌধুরী গোলাম আব্বাস ও শেখ আবদুল্লাহ’র মাঝে বিরোধ মেটানোর ব্যর্থ চেষ্টা।

৬. জুলাই ১৯৪৪: মহারাজা হরি সিংকে শেখ আবদুল্লাহ কর্তৃক জম্মু ও কাশ্মীরের সম্ভাব্য রাজনৈতিক সংবিধান হিসেবে ‘নয়া কাশ্মীর’ ম্যানিফেস্টো প্রদান।

৭. মে ১৯৪৬ : গণআন্দোলন মোকাবেলায় কাশ্মীরের মহারাজা কর্তৃক শেখ আবদুল্লাহকে গ্রেফতার।

৮. আগস্ট ১৯৪৭: পাকিস্তান ও ভারত নামে দুটি স্বাধীন দেশে বিভক্ত হলো ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রিত ভারত। প্রিন্সলি স্টেইটগুলোকে তাদের জনগণের ইচ্ছাকে বিবেচনায় নিয়ে ভারত বা পাকিস্তানে যোগ দেয়ার সুযোগ দেয়া হলো। কাশ্মীরের মহারাজা হরি সিং সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময়ক্ষেপণ করছিলেন। চৌধুরী গোলাম আব্বাসের নেতৃত্বাধীন মুসলিম কনফারেন্সের পাকিস্তানভুক্তির পক্ষে সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

৯. সেপ্টেম্বর ১৯৪৭: শেখ আবদুল্লাহকে মুক্তিদান।

১০. অক্টোবর ১৯৪৭: পুঞ্চ বিদ্রোহ সামাল দিতে ভারতের সহায়তার লক্ষ্যে মহারাজা হরি সিংকর্তৃক জম্মু ও কাশ্মীরের ভারতভুক্তি চুক্তি স্বাক্ষর।

১১. অক্টোবর ১৯৪৭: ভারতীয় সেনাদের কাশ্মীরের প্রধান শহর শ্রীনগরে আগমন। কাশ্মীর সংঘাতের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে রুপান্তর।

১২. জানুয়ারি ১৯৪৮: ভারতকর্তৃক কাশ্মীর পরিস্থিতি জাতিসংঘে উত্থাপন। কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি এবং গণভোট অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে প্রস্তাব গৃহীত।

১৩. ডিসেম্বর ১৯৪৯: কাশ্মীর সমস্যা সমাধানে ব্যর্থতার ঘোষণা দিয়ে জাতিসংঘ মিশনের কার্যক্রম স্থগিতের গোষণা।

১৪. জানুয়ারি ১৯৫০: স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে নিজস্ব সংবিধান কার্যকর। প্রতিরক্ষা, বিদেশনীতি এবং যোগাযোগের নিয়ন্ত্রণ দিল্লির উপর রেখে সংবিধানের ৩৭০ নং ধারায় জম্মু ও কাশ্মীরকে স্বায়ত্তশাসন প্রদান।

১৫. জুলািই ১৯৫০: জম্মু ও কাশ্মীরে বিগ স্টেইট এবলিশন অ্যাক্ট অনুমোদন। ভূমি ও কৃষি সংস্কারের ক্ষেত্রে বাড়তি গতি।

১৬. অক্টোবর ১৯৫১: কাশ্মীরের ভবিষ্যৎ নির্ধারণের লক্ষ্যে শেখ আবদুল্লাহ’র নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল কনফারেন্স দলের সংবিধান সভার নির্বাচন দাবি।

১৭. মার্চ ১৯৫১: জাতিসংঘকর্তৃক কাশ্মীরে গণভোটের তাগিদ। কাশ্মীরে জাতিসংঘের প্রতিনিধি প্রেরণ।

১৮. সেপ্টেম্বর ১৯৫১: সংবিধানসভার নির্বাচনে কাশ্মীরে আসনেই ন্যাশনাল কনফারেন্সের বিজয়।

১৯. অক্টোবর ১৯৫১: জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধান সভা গঠনের নির্বাচন। নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভায় শেখ আবদুল্লাহ কর্তৃক কাশ্মীরের ভারতভুক্তির প্রস্তাব।

২০. জুলাই ১৯৫২: ভারতভুক্ত হয়েও জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করে শেখ আবদুল্লাহ কর্তৃক দিল্লিতে চুক্তি স্বাক্ষর।

২১. নভেম্বর ১৯৫২: হরি সিংয়ের পুত্র করণ সিং জম্মু ও কাশ্মীরে ‘সদর-ই-রিয়াসত’ নিযুক্ত।

২২. জুলাই ১৯৫৩: কাশ্মীরের পূর্ণ ভারতভুক্তির দাবিতে শ্যামাপ্রসাদ মুখাজির্র নেতৃত্বে আন্দোলন এবং প্রত্যুত্তরে আবদুল্লাহ কর্তৃক কাশ্মীরের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি।

২৩. আগস্ট ১৯৫৩: কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ আবদুল্লাহ বরখাস্ত এবং তাকে কারাগারে বন্দী। ভারতীয় বাহিনীকর্তৃক প্রতিবাদ আন্দোলন দমন।

২৪. আগস্ট ১৯৫৩: নতুন দিল্লিতে ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক; ১৯৫৪ সালের এপ্রিলে মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসনিক উদ্যোগ গ্রহণে সম্মতি। কিন্তু কার্যত এ বিষয়ে কোনো অগ্রগতি ঘটেনি আর।

২৫. ফেব্রুয়ারি ১৯৫৪: কাশ্মীর সংবিধানসভায় ভারতভুক্তি অনুমোদন।

২৬. মে ১৯৫৪: জম্মু ও কাশ্মীরে কার্যকর ‘নতুন সংবিধানিক আইন ১৯৫৪’ -এর ঘোষাণা।

২৭. জানুয়ারি ১৯৫৭: জম্মু ও কাশ্মীর কর্তৃক নিজস্ব সংবিধান অনুমোদন এবং তাতে জম্মু ও কাশ্মীর ‘রাষ্ট্র’কে ভারতের অংশ হিসেবে উল্লেখ।

২৮. আগস্ট ১৯৫৫: শেখ আবদুল্লাহ’র মুক্তি এবং গণভোট অনুষ্ঠানের দাবিতে কাশ্মীরে ‘গণভোট ফ্রন্ট’ গঠন।

২৯. অক্টোবর-নভেম্বর ১৯৬২: লাদাখ অঞ্চলে ভারত-চীনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু। চীনকর্তৃক লাদাখের বিশাল এলাকা দখল।

৩০. মার্চ ১৯৬৫: ভারতের লোকসভায় জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের একটি প্রদেশ ঘোষণা। সেখানকার সরকার ও তার কার্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান। সেখানকার সরকার ও তার কার্যক্রমকে প্রত্যাখ্যান। সেখানে গভর্নর নিয়োগের বিধান।

৩১. আগস্ট-সেপ্টেম্বর ১৯৬৫: কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ শুরু।

৩২. জানুয়ারি ১৯৬৬: ভারত ও পাকিস্তান কর্তৃক তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষর। যার যার সৈন্যদের পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ায় সম্মতি।

৩৩. ডিসেম্বর ১৯৬৭: চৌধুরী গোলাম আব্বাসের মৃত্যু।

৩৪. ডিসেম্বর ১৯৭১: পূর্ববাংলার যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আবার পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ।

৩৫. ফেব্রুয়ারি ১৯৭২: কাশ্মীরে গণভোট ফ্রন্টকে ‘রাজ্য নির্বাচন’ -এ অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা।

৩৬. জুলাই ১৯৭২: ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে সিমলা চুক্তি স্বাক্ষর। যে চুক্তিতে জাতিসংঘকর্তৃক পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে যে ‘যুদ্ধবিরতি রেখা’ নির্ধারিত হয়েছিল তাকে ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ তথা সীমান্তরেখা হিসেবে ঘোষণা।

৩৭. নভেম্বর ১৯৪৭: শেখ আবদুল্লাহ’র মুক্তি এবং তাঁকে জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে স্বীকার করার বিনিময়ে তাঁর রাজনৈতিক সহযোগী মির্জা আফজাল বেগকর্তৃক আবারও ভারতের সঙ্গে এইমমের্ চুক্তি স্বাক্ষর যে জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অংশ।

৩৮. মে ১৯৭৭: কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বিষয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারার প্রতি সম্মান দেখানো না হলে শেখ আবদুল্লাহকর্তৃক বিচ্ছিন্নতার হুমকি।

৩৯. জুন ১৯৭৭: জেকেএলএফ নেতা মকবুল বাট ভারত সরকারকর্তৃক গ্রেফতার এবং কয়েক বছর পর ফাঁসি।

৪০. সেপ্টেম্বর ১৯৮২: শেখ আবদুল্লাহ’র মৃত্যু। তাঁর পুত্র ফারুক আবদুল্লাহ’র কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ।

৪১. ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪: জেকেএলএফ কর্তৃক ভারতীয় কূটনীতিবিদ রবীন্দ্র মেত্রকে ব্রিটেনে অপহরণ ও হত্যা।

৪২. জুন ১৯৮৪: দিল্লির মনোনীত গভর্নরকর্তৃক ফারুক আবদুল্লাহ সরকারকে বরখাস্ত। ন্যাশনাল কনফারেন্সের আবদুল্লাহ বিরোধী নেতা গুলাম মোহাম্মদ শাহকে মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ। ব্যাপক বিক্ষোভ। কারফিউ জারি।

৪৩. মার্চ ১৯৮৬: গুলাম মোহাম্মদ শাহকে বরখাস্ত করে গভর্নর জগমোহন কর্তৃক পূর্ণ ক্ষমতা দখল। সরকারি চাকরিতে মুসলমানদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা।

৪৪. মার্চ ১৯৮৭: নতুন নির্বাচন। ব্যাপক কারচুপি। মুসলিম ইউনাইটেড ফ্রন্টের পক্ষে বিপুল সমর্থন সত্ত্বেও কংগ্রেস-কনফারেন্স জোটকে বিজয়ী ঘোষণা। ব্যাপক গণবিক্ষোভ।

৪৫. ১৯৮৯: ভারত থেকে মুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাশ্মীরে সশস্ত্র আন্দোলনের সূচনা। দীর্ঘস্থায়ী ধর্মঘট।

৪৬. ১৯৯০: কাশ্মীরে ব্যাপকভিত্তিক ভারতীয় সামরিকায়ন শুরু। পাকিস্তান সমর্থনপুষ্ট ইসলামপন্থী সশস্ত্র তৎপরতা বৃদ্ধি। গভর্নর জগমোহনের পুননির্য়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভরত মানুষের উপর সিআরপিএফ’র গুলি। শ্রীনগরের গো কদাল ব্রিজ এলাকায় গণহত্যা সংগঠিত। ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা। জাতিসংঘ প্রতিনিধিদলের সামনে প্রায় ৫ লাখ কাশ্মীরীর গণভোট দাবি করে মিছিল। আবারু ব্যাপক গুলি। ‘কাশ্মীরে আর্মস ফোসের্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ কার্যকর ঘোষণা।

৪৭. ফেব্রুয়ারি ১৯৯১: কাশ্মীরের কুপওযারা জেলায় ভারতীয় বাহিনীর ৪র্থ রাজপুত রাইফেলের জওয়ানদের দ্বারা ৫৩ জন নারী দলবদ্ধভাবে ধষির্ত।

৪৮. জানুয়ারি ১৯৯৩: বিএসএফ কর্তৃক সফুরে এলাকায় ৫৫ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা।

৪৯. মার্চ ১৯৯৩: বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় সংগঠন েএকত্রিত হয়ে ‘অলপাটির্ হুররিয়াত নফারেন্স’ গঠিত এবং কাশ্মীরের আত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার দাবি। উর্দুতে ‘হুররিয়াত’ অর্থ হলো ‘স্বাধীনতা’।

৫০. অক্টোবর ১৯৯৩: বিজবিহারা জেলায় বিএসএফকর্তৃক এক গুলিবর্ষণে ৩৭ জন নিহত।

৫১. মে-জুন ১৯৯৯: কারগিল অঞ্চলে পাকিস্তান ও ভারতের মাঝে নতুন করে যুদ্ধ।

৫২. জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি ২০০০: সশস্ত্র আন্দোলন থেকে অহিংস গণআন্দোলনের ব্যাপকতা।

৫৩. মার্চ ২০০০: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের ভারত সফরের পূবের্ অজ্ঞাত বন্দুকধারীকর্তৃক অনন্তনাগে ৩৬ জন শিখকে হত্যা।

৫৪. নভেম্বর ২০০০: ভারতকর্তৃক কাশ্মীরে শর্তহীন যুদ্ধবিরতি ঘোষণা। ২০০১-এর মে পর্যন্ত এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর ছিল।

৫৫. মে ২০০১: মধ্যপন্থী হুররিয়াত নেতা আবদুল গণি লোন অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত।

৫৬. আগস্ট ২০০১: জম্মুতেও ‘আর্মড ফোসের্স স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্ট’ কার্যকর গোষণা।

৫৭. অক্টোবর ২০০১: কাশ্মীরের পার্লামেন্ট ভবন আক্রান্ত। ৩৮ জন নিহত।

৫৮. মে ২০০৩: ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে কূটনীতিক পরিস্থিতির অগ্রগতি।

৫৯. জুলাই ২০০৩: ‍দিল্লি-লাহোর বাস যোগাযোগ শুরু।

৬০. সেপ্টেম্বর ২০০৪: ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের মধ্যে নিউ ইয়কের্ বৈঠক।

৬১. ডিসেম্বর ২০০৪: জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্তে ভারতকর্তৃক কাঁটাতার নির্মাণের কাজ সমাপ্ত ঘোষণা।

৬২. এপ্রিল ২০০৬: জেকেএলএফ নেতা আমানুল্লাহ খানের ইন্তেকাল।

৬৩. জুলাই ২০০৬: ভারত-পাকিস্তান দ্বিতীয় দফা শান্তি আলোচনা।

৬৪. ডিসেম্বর ২০০৬: পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফকর্তৃক কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হিসেবে ‘ফোর পয়েন্ট ফর্মুলা’ ঘোষণা।

৬৫. মে ২০০৮: অমরনাথ মন্দিরকে জমি বরাদ্দ দেয়াকে কেন্দ্র করে নতুন করে ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা। কাশ্মীরের সঙ্গে ভারতের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ।

৬৬. ২০০৯: কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীকর্তৃক ধর্ষণের অভিযোগের ব্যাপকতা। এনকাউন্টারের নামে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনা ফাঁস।

৬৭. ২০১০: বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার প্রতিবাদে বছর জুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ এবং এসব বিক্ষোভে প্রায় শতাধিক বেসামরিক নাগরিক নিহত।

৬৮. আগস্ট ১২০১১: আটকাবস্থায় থাকা ১২০০ তরুণের প্রতি রাজ্য সরকারের ক্ষমা ঘোষণা।

৬৯: আগস্ট ১০১২: মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ বলেছেন, জম্মু ও কাশ্মীর থেকে আফসাপা (Armed Forces Special Power Avt) প্রত্যাহারের মতো পরিবেশ নেই।

৭০. সেপ্টেম্বর ২০১২: ভারতের প্রেসিডেন্টের কাশ্মীর সফর।

৭১. ফেব্রুয়ারি ২০১৩: কাশ্মীরী তরুণ আফজাল গুরুকে ফাঁসির কারণে কাশ্মীরে নতুন করে বিক্ষোভ।

৭২. আগস্ট ২০১৪: দিল্লিতে পাকিস্তান দূতাবাসে কাশ্মীরী স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতিনিধির সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের বৈঠক। ভারতীয়প্রধানমন্ত্রীকর্তৃক কাশ্মীরে গোপন যুদ্ধ পরিচালনার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ।

৭৩. সেপ্টেম্বর ২০১৪: কাশ্মীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক বন্যা।

৭৪. অক্টোবর ২০১৪: ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’ বরাবর ভারত-পাকিস্তানের মাঝে ব্যাপক সংঘর্ষ। ১৮ ব্যক্তি নিহত।

৭৫. নভেম্বর ২০১৪: হুররিয়াতের বয়কটের ডাক সত্ত্বেও ২০১৪-এর রাজ্য নির্বাচনে গত ২৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটারের ভোট প্রদান।

৭৬. মার্চ ২০১৫: মুফতি মুহাম্মদ সাঈদের নেতৃত্বে কাশ্মীরে জোট সরকার। প্রথমবারের মতো পিপলস্ ডেমোক্রেটিক পাটির্ (পিডিপি)-এর সঙ্গী হয়ে হিন্দুত্ববাদী বিজেপির কাশ্মীরে সরকার পরিচালনার সুযোগ লাভ।

৭৭. এপ্রিল ২০১৬: মুফতি মুহাম্মদ সাঈদের মৃত্যু। তাঁর কন্যা মেহেবুবা সাঈদের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ।

৭৮. জুলাই ২০১৬: সশস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামী বুরহান মুজাফফর ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে কাশ্মীর জুড়ে নতুন করে ব্যাপক বিক্ষোভের সূচনা। প্রথম ৯০ দিনে ৯ হাজার ব্যাক্তি আহত। বিক্ষোভে গুলির কারণে প্রায় এক শত বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু। কাশ্মীর সীমান্তের নিকটে অন্তত চারটি জেলায় গণকবরের সন্ধান লাভ এবং সেখানে প্রায় দুই হাজারের অধিক ব্যক্তির মৃতদেহ রয়েছে বলে শনাক্ত। এ মৃতদেহ কাশ্মীরের নিখোঁজ মানুষ হিসেবে অনুমান।

৭৯. সেপ্টেম্বর ২০১৬: ‘নিয়ন্ত্রণ রেখা’য় কাশ্মীরী স্বাধীনতাবাদীদের হামলায় ১৮ ভারতীয় সৈন্য নিহত।

৮০. জুলাই ২০১৭: বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর প্রথম বাষির্কীতে কাশ্মীর জুড়ে আবার বিক্ষোভ। বন্দুকধারীদের হামলায় ১৬ জন হিন্দু তীর্থযাত্রীর মৃত্যু।

৮১. জানুয়ারি ২০১৮: ভারত সরকারকর্তৃক এরুপ তথ্য প্রকাশ যে, কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তানের মাঝে সর্বশেষ ২০১৭ সালে ৮২০ দফা গুলি বিনিময় হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে চার গুণ বেশি।

৮২. মার্চ ২০১৮: কাশ্মীরী আজাদি আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা সৈয়দ আলী শাহ গিলানীর সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসরের ঘোষণা।

৮৩. এপ্রিল ২০১৮: ভারতীয় সংবিধানের কাশ্মীর সংশ্লিষ্ট ৩৭০ নং অনুচ্ছেদ সম্পকির্ত এক মামলায় ভারতের সবেরোচ্চ আদালত ৩ এপ্রিল রায়ে বলে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বর্তমানে একটা স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। একে বাতিল করা সম্ভব নয়।

সূত্র: কাশ্মীর ও আজাদির লড়াই

সামাজিক মিডিয়াতে শেয়ার করুন

এই বিভাগের আরও খবর

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *